Updates

প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

আল মাদ্রাসাতুল মাদানীয়্যাহ প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি গভীর বেদনা ও হৃদয়ের কষ্ট জড়িয়ে আছে, দীর্ঘ ২৫ বছর সর্বোচ্চ গভীর মনোযোগ সহ পড়া লেখা করার পরেও যখন নিজেকে মানসম্মত কোন আলেম হিসেবে দেখতে পাইনি তখনই মনের মধ্যে গভীর বেদনা জামা হতে থাকে, তবে যখন হেফজ শেষ করে মিজান তথা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আমি তখনই মনে করেছিলাম এভাবে পড়াশোনা করতে পারলে জীবনে বহু দূর যেতে পারবো কিন্তু দুঃখের কথা হলো কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ঠিক তৃতীয় বর্ষ থেকেই নিজের চোখে যেন দেখতে পাচ্ছিলাম সামনের অন্ধকার বুঝতে পেরেছিলাম এই প্রথম দুই একটি ক্লাসে যতটা জ্ঞান চর্চা আছে সামনের পথগুলো ততই অন্ধকার যা উপলব্ধি করেছিলাম তাই আজ বাস্তবায়ন হল, আমাদের উত্তরসূরী ইমাম বুখারী থেকে শুরু করে প্রতি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আলেম ওলামাদের কাতারে শামিল হওয়ার স্বপ্ন ছিল স্বপ্ন ছিল বড় কোনো আলেম হওয়ার কিন্তু সে স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে গিয়েছে তার ধারের কাছে যেতে পারিনি।

তবে মনের ব্যথা ও বেদনা আমাকে নিয়ে গেছে অন্য আরেক উচ্চ শিখরে আর তা হল: দীর্ঘ শিক্ষা সফরের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে নিজের দুর্বলতা গুলোকে চিহ্নিত করেছি যেন আগামী প্রজন্ম আমার মত অন্ধকারে বড় না হয় তাই আমি আপনাদের যে আলোর সন্ধানের পথে নিয়ে যাচ্ছি তার জ্বলন্ত প্রমাণ সদ্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের মাত্র দুই বছরের স্টুডেন্টদের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন তাদের বিষয়ভিত্তিক পড়ার রেকর্ড গুলো আমাকে কাঁদিয়ে দেয়, খুশি ও সে ধরে রাখতে পারি না অঝোরে চোখ বেয়ে আনন্দের অশ্রু আসে যার সাক্ষী আমার গার্জিয়ানদের অনেক অভিভাবক এমনকি মসজিদের নবাবীর কিছু দর্শনার্থী ও তবে আমার হৃদয়ের প্রশান্তি ও তৃপ্তির উচ্চতা যে কত বেশি যা একমাত্র মহান আল্লাহ তিনি ভাল জানেন, আর এই সফলতা শুরু হয়েছে আমার নিজের ঘর থেকেই আমার স্ত্রী সন্তান তারা খুব সহজেই কুরআন মুখস্থ করার আগেই তাদের কোরআন খুব সহজে মুখস্ত হয়ে যায় যা শুধু সম্ভব হয়েছে মহান আল্লাহর দয়ার পরেই এই শিক্ষা ব্যবস্থার বিশেষ পরিবর্তন ও গবেষণামূলক নতুন সিলেবাস ও নতুন পদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমেই।

আমাদের সমগ্র দেশে শিক্ষাটাকে বোঝা হিসেবে নেওয়া হয়েছে শিক্ষার মাঝে নেই কোন আনন্দ নেই কোন প্রশান্তি নেই কোন আকাঙ্ক্ষা কেমন যেন গতানুগতিক গাধার মত বোঝা বহন করা আমাদের কাজ, আপনি হাজার প্রতিষ্ঠান ঘুরেও আদর্শ কোন শিক্ষক কোন ছাত্র বা সিলেবাসের সৌন্দর্য তার ছেটা ফটো কোথাও পাবেন না, ইল্লা মা মাশাআল্লাহ, যে কারণে আজ অবধি আমি যেমন বিশেষজ্ঞ বড় কোন আলেম হতে পারিনি তদ্রূপ বাংলার মাটিতে এখন পর্যন্ত প্রকৃত মানসম্মত বিশেষজ্ঞ কোন আলেম‌ও তৈরি হয় নাই,এর মৌলিক কারণ হচ্ছে আমরা সাহাবী এবং আমাদের উত্তরসূরিদের পথনির্দেশনা থেকে বহু দূরে ছিটকে পড়েছি আমরা শিক্ষার নামে আজ শিক্ষার কলঙ্ক বহন করছি আদর্শ মুসলিম হবার পরিবর্তে ইসলামকে কলঙ্কিত করছে কোরআন ও হাদিসের ধারক বাহক হিসেবে আমাদের চরিত্র কিংবা জ্ঞানে তার ছেলেটা ফোটাও কোন প্রমাণ মিলে না আমার বছরের পর বছর শুধু পরীক্ষায় পাস করে যাচ্ছি পক্ষান্তরে শিক্ষার আদর্শ থেকে বহুদূর ছিটকে পড়েছি।

তাই এ সকল ব্যথা বেদনা নিয়ে নিজেকে স্থির করেছি এমন একটি প্রতিষ্ঠান করব যা সত্যি দেশ ও জাতির শিক্ষাঙ্গনকে আলোকিত করবে যেখানে ছাত্র সমাজ সত্যিই জ্ঞানের সন্ধান খুঁজে পাবে। যেখানে মানুষ জ্ঞান থেকে উপকৃত হবে মৌলিক উদ্দেশ্য নয় পূর্বযুগের সালফে সালেহীনদের মতো তৈরি করা যাদের বক্তৃতা ও লিখনিতে জ্ঞানের ফোয়ারা ফুটে উঠবে আলোর তেজ বহুদূর আলোকিত করবে

চিন্তা ও প্রেরণা কাজ করেছে। দেশের মধ্যে যখন শিক্ষাকে একটি ব্যবসায়িক পণ্য বানানো হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কোন মানসম্মত সিলেবাস নেই, তখন আমরা দেখতে পাই যে প্রাচীন কালে ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিজি সহ অন্যান্য বিখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্বরা ছোট বয়সেই কোরআনের হাফেজ এবং লক্ষ লক্ষ হাদিসের হাফেজ ছিলেন। অথচ আজকের দিনে আমাদের শিশুদের মধ্যে সেই অনুরূপ ইলম অর্জনের অভাব পরিলক্ষিত হয়।

বর্তমানে অনেক শিশু-কিশোর কোরআন মুখস্থ করতে পারলেও তারা কোরআনের অর্থ এবং হুকুম আহকাম সম্পর্কে অবগত নয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি লক্ষ্য করলাম যে আমাদের দেশের শিশু-কিশোরদের জন্য মানসম্মত ইসলামিক সিলেবাস নেই। বর্তমানে যে সিলেবাস দ্বারা বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয় তা বহুবছর পুরনো। এই অভাব পূরণ করার জন্য আমার হৃদয় থেকে একটি মানসম্মত সিলেবাস তৈরি করার ইচ্ছা জাগে।

মদিনা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুবাদে সৌদি আরবের বিভিন্ন ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস এবং বই সংগ্রহ করে, সেগুলো এনালাইসিস করে আমি একটি নতুন সিলেবাস প্রণয়ন শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ, ইতিমধ্যে আমরা এই নতুন সিলেবাসের ফল দেখতে পাচ্ছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে চার বা পাঁচ বছর বয়সী শিশুদেরকে শিক্ষাদান করা হয়েছে, এবং তারা শত শত হাদিস, দোয়া এবং কয়েক পারা কোরআন মুখস্থ করেছে।
এই সাফল্য আমাদেরকে স্বপ্ন দেখায় যে বর্তমান যুগেও ইমাম বুখারির মতো আলেম তৈরি করা সম্ভব। আমাদের এই নতুন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা শুধু কয়েকটি দেশ বা ভাষায় সীমাবদ্ধ নয়; বরং আমরা ইনশাআল্লাহ, সারা পৃথিবীব্যাপী বারোটি ভাষায় আমাদের ক্লাস চালু করবো। এর মাধ্যমে আমরা কোমলমতি শিশুদেরকে জগৎবিখ্যাত আলেম হিসেবে তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।

আমাদের প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গার ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া শিখছে এবং তারা পৃথিবীকে অবাক করে দিচ্ছে তাদের পারফরম্যান্স দ্বারা। আমাদের ছাত্রদের পারফরম্যান্স দেখতে হলে ওয়েবসাইটের ভিডিও গ্যালারি অপশন চেক করার অনুরোধ রইলো।

আমাদের প্রতিষ্ঠান শুধু শিশুদের নয়, বরঞ্চ শিশু-কিশোর থেকে পূর্ণাঙ্গ আলিম তৈরীর জন্য সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। আপনার সন্তান বা আপনি যেই বয়সেরই হোন না কেন, আমাদের সাথে যুক্ত হোন এবং ইলমের দরিয়ায় নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত আর্টিকেলগুলো পড়ুন এবং আমাদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন।

আল মাদ্রাসাতুল মাদেনিয়া ইসলামিক স্টাডিজ স্কুলের সাথে আপনার সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে আজই যোগদান করুন।

হোয়াটসাঅ্যাপ চ্যাট
মেসেঞ্জার চ্যাট
লোডিং হচ্ছে...